বিপিএল: ফাইনালে কুমিল্লা
- খেলাধুলা
কুমিল্লার ইনিংসে উজ্জ্বলতম বিশেষ দ্রষ্টব্য অবশ্যই তাওহিদ হৃদয় আর লিটন দাসের ব্যাটিং। রংপুরের ৬ উইকেটে করা ১৮৫ রানের জবাবে ইনিংসের প্রথম বলে ওপেনার সুনীল নারাইনকে হারিয়ে ধাক্কা খায় কুমিল্লা। তবে এরপর অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে তাওহিদ হৃদয়ের ১৪.৫ ওভারে ১৪৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতেই কার্যত ম্যাচটা কুমিল্লার মুঠোয় চলে আসে। ৪৩ বলে ৬৪ রান করেছেন হৃদয়। ৪ ছক্কা ও ৯ বাউন্ডারিতে ৫৭ বলে ৮৩ রান করে অধিনায়ক লিটন জয়ের পথে কুমিল্লাকে আরেকটু এগিয়ে দিয়ে আউট হয়েছেন দলীয় ১৭৩ রানে। দুই বিদেশি মঈন আলী ও আন্দ্রে রাসেল বাকি কাজটা করে দেন ৯ বল বাকি থাকতেই।
মাত্র ৩ রানের জন্য তিন অঙ্কে পৌঁছাতে না পারার হতাশা নিশামের থাকতেই পারে, তবে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে তাৎক্ষণিক সেটা নিশ্চয়ই ভুলতে পেরেছিলেন কিছুটা। সাত ছক্কার সঙ্গে আট চার তাঁর ইনিংসে। পূর্ব গ্যালারির লোহার গ্রিলে গিয়ে আঘাত করা মঈন আলীকে মারা একটা ‘ফ্ল্যাট সিক্স’ তো ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। তানভীরকে হাঁটু গেড়ে বসে কাভারের ওপর দিয়ে মারা শেখ মেহেদীর ছক্কা, মুশফিককে মিড অন দিয়ে নিকোলাস পুরানের গ্যালারিতে উড়িয়ে নিয়ে ফেলা—নড়বড়ে শুরুর সঙ্গে অমিল বাড়াতে বাড়াতেই এগিয়েছে রংপুরের ইনিংস।
অবশ্য আজ দিনটাই যেন ছিল বোলারদের মার খাওয়ার! দিনের প্রথম ম্যাচে শুভাগত হোম চৌধুরীর ১ ওভারে ২৬ রান নিয়েছেন কাইল মায়ার্স। পরের ম্যাচে মুশফিকের ১ ওভারে ২৮ রান নিয়েছেন নিশাম। দুটিই এবারের বিপিএলে ১ ওভারে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় দখল করেছে শীর্ষ দুই স্থান। রংপুরের বোলারদের মধ্যে ঝড়টা বেশি গেছে হাসান মাহমুদের ওপর দিয়ে। ২ ওভারে ৩২ রান দিয়েছেন এই পেসার।
খেলায় শেষ পর্যন্ত ফলাফলটাই বড়, এলিমেনেটর বা কোয়ালিফায়ারের মতো ম্যাচে তো সেটা আরও বেশি। নিশামের ধুন্ধুমার ইনিংসটাকেও তাই ম্যাচ শেষে দূর অতীত মনে হলো। এ ম্যাচেও ফর্ম ধরে রাখা লিটন, তাওহিদের চোখজুড়ানো শটগুলোই তখন বেশি জ্বলজ্বলে।
একই দিনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল। প্রথমে এলিমিনেটর, পরে কোয়ালিফায়ার। ছুটির দিনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক টিকিটে দুই ম্যাচ দেখতে উপচে পড়া দর্শক। সরকারি হিসাবে দর্শকসংখ্যাটা ২৫৫৮৬, এবারের বিপিএলেই যেটা গ্যালারিতে সর্বোচ্চ উপস্থিতি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও অনেক দিন এত দর্শক দেখেনি শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।