গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবের নিশ্চয়তা চায় হামাস
- আন্তর্জাতিকলিড
- 1 minute read
মার্কিন সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবায়নের নির্ভরযোগ্য নিশ্চয়তা চেয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানান, প্রস্তাব গ্রহণের আগে গাজায় সংঘাতের অবসান হবে—এমন সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা দাবি করছে হামাস।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির খুঁটিনাটি নিয়ে এখনও পর্যালোচনা চলছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, প্রস্তাবটি নিয়ে ফিলিস্তিনের অন্যান্য গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চলছে। সবার মতামত গ্রহণের পর মধ্যস্থতাকারীদের কাছে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর এবং জিম্মিদের মুক্তি সম্ভব হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালালে কমপক্ষে ১,২০০ জন নিহত এবং প্রায় ২৫০ জন জিম্মি হয় বলে দাবি করে ইসরায়েল। এর জবাবে চালানো ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত প্রশমনের পর, যুক্তরাষ্ট্র এই ধারাবাহিকতা গাজায় ধরে রাখতে চায়। তবে এখনো গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছেছে ইসরায়েল। এই বিরতির সময় স্থায়ী শান্তি স্থাপনে কাজ করবে উভয় পক্ষ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, হামাস শুক্রবারের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া দিলে ইসরায়েল আলোচনায় অংশ নেবে।
প্রস্তাবে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে:
১০ জন জীবিত জিম্মি এবং ১৮ জন জিম্মির মরদেহের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সঙ্গে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি
ইসরায়েলি সেনা গাজা থেকে প্রত্যাহার শুরু
স্থায়ী শান্তি নিয়ে আলোচনা শুরু
তবে, অতীতে উভয় পক্ষের কঠোর অবস্থানের কারণে একাধিক যুদ্ধবিরতির চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। ইসরায়েল হামাসের সম্পূর্ণ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ করতে নারাজ। অন্যদিকে, হামাসের দাবি—ইসরায়েলি সেনা সম্পূর্ণ গাজা ত্যাগ না করলে কোনো আলোচনা নয়।