জাফলংয়ে পাহাড়ি ঢলে জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত

জাফলংয়ে পাহাড়ি ঢলে জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকা প্লাবিত

বিপদসীমার কাছাকাছি নদীর পানি, বন্ধ পর্যটন কার্যক্রম

সিলেটের জাফলংয়ে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পিয়াইন নদীতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের মেঘালয় অঞ্চল থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করলে জাফলংয়ের জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা দ্রুত প্লাবিত হয়।

প্রবল স্রোতের কারণে নদীতীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে আশপাশের বসতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ইতোমধ্যে জাফলংয়ের অধিকাংশ পর্যটন এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব ধরনের পর্যটন কার্যক্রম। নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুধু জাফলং নয়, সিলেটের গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার নদীতীরবর্তী এলাকাগুলোতেও পানি বৃদ্ধি ও ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। এসব অঞ্চলে বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেট ও ভারতের মেঘালয় অঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা’ ঘোষণা করে আকস্মিক বন্যা সতর্কতা জারি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। সেনাবাহিনী, রেড ক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে সুরমা, কুশিয়ারা ও সারি নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এসব নদীর পানি উপচে পড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উদ্ধার কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে নৌকা ও অন্যান্য সরঞ্জাম।