সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ

নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার সাহতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি ও সরকারি চাকরিবিধি লঙ্ঘন, গ্রামীণ কলহ সৃষ্টি, সরকারি খাল দখল এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

এ অভিযোগ সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিতভাবে দাখিল করেছেন । অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও এরশাদ মিয়া বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রকাশ্যে বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালান, যা সরকারি চাকরিজীবী আচরণবিধি ও নির্বাচন কমিশনের আইন লঙ্ঘন।
এছাড়া তিনি গ্রামে সুদে টাকা লাগানো, দলাদলি উস্কে দেওয়া এবং লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করে অন্যের জমি দখলসহ নানা অনৈতিক কাজে জড়িত বলে অভিযোগে দাবি করা হয়েছে। এমনকি সফর বাংলা মৌজার মরা খালের সরকারি জমি দখল করে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন, যার ফলে কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটছে।

ছবি: সাবেক উপমন্ত্রীর সাথে নির্বাচনী প্রচারনায় এরশাদ মিয়া

অভিযোগকারীর দাবি, এরশাদ মিয়া রাতের বেলায় গ্রামে জুয়ার আসর বসানো এবং জুয়া খেলায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। এসবের কারণে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে এবং সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগকারী আরো জানান, শিক্ষক এরশাদ মিয়া নিজেকে সাবেক যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিতেন এবং সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে চলাফেরা করতেন। সেই সময় তার প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে পূর্বের অভিযোগগুলো তদন্ত সাপেক্ষে নিষ্পত্তি হয়নি। এজন্য বিভাগীয় তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

ছবি: আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় এরশাদ মিয়া

এই বিষয়ে এরশাদ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি নির্বাচনের সময় জনসভার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম। উনারা আমাকে ডেকে সেখানে নিয়ে গেছেন। আমি কোনো প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিইনি।”
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, “নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সকল বিষয়ে জানা যাবে।”অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

এলাকাবাসীর কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন এই বিষয়ের সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনলে এ ধরনের অপকর্ম আর হবে না । এবং সামাজিক অবক্ষয় হবে না।