আ. লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করতেই জরুরি মিটিং: প্রেসসচিব শফিকুল আলম
- খুলনা
- 2 minutes read
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব মো. শফিকুল আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে আজ রাতে জরুরি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে আইসিটি অ্যাক্টের অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান তিনি।
শনিবার (১০ মে ২০২৫) বিকেলে যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৪২ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসসচিব এ কথা বলেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং যারা এখনও ধরা পড়েনি, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা সরকারের পক্ষ থেকে অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আজ রাতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে।”
ভারতের গণমাধ্যম ও সম্প্রচার নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনে ভারতের কিছু মহলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এজন্য তারা আমাদের কিছু মিডিয়ার সম্প্রচার বন্ধ করেছে। যদিও আমরা এমনটা করতে চাই না। বরং আমরা দেখছি, তারা আমাদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তাদের সাংবাদিকতা নাটকীয়—চিৎকার করে বিনোদন দেওয়া, যা দায়িত্বশীলতার অভাবের পরিচায়ক।”
বাংলাদেশি মিডিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের মিডিয়ার অনেকেই দায়িত্বশীল ও প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। যদিও অতীতে কিছু মিডিয়া স্বৈরশাসকের টুলস হিসেবে কাজ করেছে এবং বিরোধী দলের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।”
ভুয়া মামলা নিয়ে প্রশ্নে প্রেসসচিব বলেন, “আমরা কাউকে হয়রানি করতে মামলা দিচ্ছি না। বরং রাজনৈতিক দলগুলোই মামলা দিচ্ছে। আমাদের সরকার বলেছে—তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সদস্য এবং বিদ্যালয়ের সভাপতি এস এম রাশিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন।
‘এসো মিলি প্রাণের টানে, সম্প্রীতির বাঁধনে’ স্লোগানে আয়োজিত পুনর্মিলনী উৎসবে অতিথিদের লাল গালিচা সংবর্ধনা ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে।