যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করলো ভারত-পাকিস্তান
- আন্তর্জাতিক
- 2 minutes read
ভারত ও পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে চলমান সীমান্ত সংঘাত নিরসনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশের শীর্ষ সামরিক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই খবর জানিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান, পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO)-এর সঙ্গে সমপর্যায়ের ভারতীয় কর্মকর্তার আজ বিকেলে ফোনে আলোচনা হয়। আলোচনার পর, “উভয় পক্ষ স্থল, জল ও আকাশপথে সব ধরনের সামরিক হামলা বন্ধে সম্মত হয়। যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত আজ ভারতীয় সময় বিকাল ৫টা থেকে কার্যকর হয়েছে।”
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে একমত হয়েছে। পাকিস্তান সবসময় আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার পক্ষে। তবে সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করা হবে না।”
এই গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিরতির ঘোষণাটি সর্বপ্রথম প্রকাশ্যে আনেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লেখেন,
“যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় রাতভর আলোচনার পর, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি—ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এটা সবার জন্য একটি বিজয়। আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমেই সংকটের সমাধান সম্ভব।”
এই যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, “ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই যেন আলোচনার টেবিলে বসে—এটাই আমাদের বার্তা। সংঘাত নয়, শান্তি দরকার।”
এদিকে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মন্তব্য করেছেন, “এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র জড়াতে চায় না। এটা দুই দেশের বিষয়। তবে আমরা চাই তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যার সমাধান করুক।”
উল্লেখ্য, গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারত। সেই ঘটনার জেরে ৮ মে শুরু হয় ভারতের সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিনদুর’, যা পাকিস্তানের ভেতরে বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। এর পর থেকেই অঞ্চলজুড়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সর্বশেষ এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা প্রশমনে বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন দৃষ্টি থাকবে—এই চুক্তি কতটা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং দুই দেশের ভবিষ্যত কূটনৈতিক অবস্থান কীভাবে পরিচালিত হয়।