স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি গণঅধিকার পরিষদের

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলেও সরকারের অভ্যন্তরে ‘আওয়ামী পুনর্বাসন প্রকল্প’ চালু রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে পক্ষপাতিত্ব এবং প্রহসনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তারা সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে।

রোববার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তোলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার আড়ালেও নিরাপদ প্রস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার চেষ্টা গভীরভাবে উদ্বেগজনক।”

রাশেদ খান আরও বলেন, “সরকারের গ্রিন সিগনালের পর ‘হত্যা মামলার আসামি’ আবদুল হামিদ ৮ মে রাতে দেশ ছেড়ে পালান। অথচ দায়সারা দায় মেটাতে শুধু চারজন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূল অপরাধীদের বাঁচাতে এ এক ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর চক্রান্ত।”

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের জনগণের সঙ্গে এমন প্রতারণা বরদাস্ত করা যায় না। “যেখানে দেশের একজন ‘ডামি রাষ্ট্রপতি’ হয়ে হত্যা মামলার আসামি হয়েও বিদেশে পালাতে পারেন, সেখানে আইনের শাসন কোথায়?” – প্রশ্ন রাখেন রাশেদ খান।

গণঅধিকার পরিষদ মনে করে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এই ঘটনার দায় এড়াতে পারেন না। “তার গাফিলতি, উদাসীনতা বা সরাসরি সহযোগিতার বিষয়টি তদন্ত করে প্রকাশ্যে আনতে হবে। তবে তার পদত্যাগই হবে সরকারের ন্যূনতম দায় স্বীকারের বহিঃপ্রকাশ।”

সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ ঘোষণাকে ‘সার্বিক রাজনৈতিক শুদ্ধির অংশ’ হিসেবে নিতে হলে সরকারের উচিত হবে সব পক্ষের বিরুদ্ধে সমান আচরণ নিশ্চিত করা, এবং প্রশাসনের অভ্যন্তরে দলীয় আনুগত্যের দায়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

এই পরিস্থিতিতে গণঅধিকার পরিষদ দাবি জানিয়েছে, রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও শুদ্ধি অভিযানে যেন ‘নির্বাচিত প্রতিপক্ষ নয়, প্রকৃত অপরাধী’ লক্ষ্য করা হয়। একইসঙ্গে তারা আহ্বান জানিয়েছে, দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির জন্য প্রশাসন ও মন্ত্রিসভার দায়িত্বশীলদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার।