কাশ্মির সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে পাকিস্তানের সমর্থন, চায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা

কাশ্মির সংকটের স্থায়ী সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে পাকিস্তানের সমর্থন, চায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর কাশ্মির সংকটের স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত সমাধানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে পাকিস্তান। রোববার (১১ মে) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই অবস্থান জানানো হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তান কাশ্মির ইস্যুর স্থায়ী সমাধানে আন্তরিকভাবে আগ্রহী এবং এই অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকতে চায়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, “পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির চুক্তি বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য মিত্র রাষ্ট্রগুলোর গঠনমূলক ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে। এই পদক্ষেপ উপমহাদেশে উত্তেজনা হ্রাস ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার পথে বড় ধরনের অগ্রগতি।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাশ্মির সংকট নিরসনে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন—এমন প্রসঙ্গে পাকিস্তান বলেছে, “এটি একটি দীর্ঘদিনের বিরোধ, যা শুধু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও আন্তর্জাতিক শান্তি-নিরাপত্তার ওপরও প্রভাব ফেলছে।”

তবে পাকিস্তান কাশ্মির সংকটের যেকোনও সমাধান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে হওয়া উচিত বলে জোর দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, “জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুসারে কাশ্মিরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার নিশ্চিত করেই কেবল এই সমস্যার ন্যায্য ও স্থায়ী সমাধান সম্ভব।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, আঞ্চলিক শান্তি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ বহুমাত্রিক অংশীদারত্ব আরও গভীর করার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতির পরবর্তী এই কূটনৈতিক বার্তালাপ কাশ্মির সংকট নিরসনের সম্ভাব্য রাজনৈতিক ভিত্তি গড়ে তুলতে পারে, যদিও ভারতের অবস্থান এখনো পরিষ্কার নয়। এদিকে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি এখন ঘুরে দাঁড়ানো শান্তি উদ্যোগের দিকে।