দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঢাকাতেও কমেনি উত্তাপ
- আবহাওয়া
- 1 minute read
গত কয়েকদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গ্রীষ্মের এই প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি ভুগছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও রাজধানী ঢাকা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (১০ মে) চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই বছরের সর্বোচ্চ।
রোববার (১১ মে) চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করলেও তা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। ঢাকাতেও তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জানান, আগামীকাল সোমবার তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। তিনি বলেন, “কোথাও কোথাও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকায় বৃষ্টি না হলেও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার (১২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে, হিটস্ট্রোকের আশঙ্কায় অনেকে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। স্কুল-কলেজেও উপচে পড়া গরমে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দেশের কিছু এলাকায় বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ও বিস্তৃতির ওপর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন গরমে প্রচুর পানি পান করা, রোদে সরাসরি না যাওয়া এবং হালকা খাবার গ্রহণ করা উচিত। বাইরে বের হলে ছাতা বা টুপি ব্যবহার এবং শিশু ও বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সুরক্ষায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।