নিউ ইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণ দিলেন শেখ হাসিনা
- নিউ ইয়র্ক
- 3 minutes read
নিউ ইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণে শেখ হাসিনা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান।
আসলাম আহমাদ খান, নিউ ইয়র্ক, ৯ মে ২০২৫।। নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে ভার্চুয়াল ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে ৪ মে সন্ধ্যা ৬টায় নবান্ন পার্টি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি তাঁর অবিচল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান। আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর থেকে তাঁদের কল্যাণে কাজ করেছি। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, পেনশন, গৃহ নির্মাণসহ নানা কল্যাণমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেশে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, “দখলদার ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরাচ্ছে, শারীরিক নির্যাতন করছে, তাঁদের সম্পত্তি দখল করছে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যুক্তরাষ্ট্রের সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া। প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নিউ জার্সির কাউন্সিলম্যান ড. নুরুন নবী। তিনি বলেন, “ড. ইউনুস নারীর প্রতি সহিংসতা ও উগ্রবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশকে অশান্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তাঁর শান্তি নোবেল প্রত্যাহার করা উচিত।”
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, সিরু বাঙালী, রাজনীতিক দিলিপ নাথ, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর দস্তগীর এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রানা হাসান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জিনাত নবী, সাংবাদিক লাভলু আনসার, স্বেচ্ছাসেবক ড. পার্থ ব্যানার্জি, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর, শহীদ সন্তান ডা. মাসুদুল হাসান, এবং আরও অনেকে।
সাংবাদিক জাহাঙ্গীর দস্তগীর বলেন, “৫ আগস্টের পর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এমনকি মৃত্যুর পরও তাঁদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না।” তিনি এক মিনিট নীরবতা পালন করেন রাষ্ট্রীয়ভাবে বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে।
সমাবেশে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন স্বীকৃতি বড়ুয়া, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর নিয়ে লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন গোপন সাহা এবং পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মিঠু।
সমাবেশ শেষে সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা ও দেশকে পাকিস্তানীকরণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।