অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় এইচআরএফবির নিন্দা
- জাতীয়
- 1 minute read
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এস. এম. আনোয়ারা বেগমকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
রোববার (১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি জানায়, ৬৯ বছর বয়সী একজন নারীকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং হতাশাজনক।
এইচআরএফবির বিবৃতিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাজধানীর রায়সাহেব বাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা চোখে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় তিনি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা প্রচেষ্টার মামলা করেন।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে দেওয়া এক প্রতিবেদনে অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে উল্লেখ করেন। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করে এবং পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায়।
অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক সদস্য। তিনি ২০২১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে আদালতের বিশেষ বিবেচনার সুযোগ রয়েছে, যা এই ঘটনায় বিবেচনায় নেওয়া উচিত ছিল।
এইচআরএফবি মনে করে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অবশ্যই প্রয়োজন, তবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর রাখতে হলে মামলাগুলোর আসামি নির্ধারণ, গ্রেপ্তার ও অভিযোগ গঠনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বাছাই-বাছাই প্রয়োজন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সন্দেহভাজন হিসেবে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও কারাগারে প্রেরণ চলতে থাকলে এসব মামলা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং বিচারিক প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠবে। এতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এইচআরএফবি আরও আহ্বান জানায়, কেউ কোনো অপরাধে জড়িত থাকলে সেটির নিরপেক্ষ ও আইনি তদন্তের মাধ্যমে বিচার হওয়া উচিত। যত্রতত্র গ্রেপ্তার বা নাম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোকে যেন প্রশ্নবিদ্ধ না করা হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।