নেত্রকোনা বারহাট্টার ছাত্রদলের সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে অনাস্থা ও বহিষ্কারের দাবিতে নেতাকর্মীদের সংবাদ সম্মেলন
- বাংলাদেশময়মনসিংহ
- 1 minute read
বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. সাজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম, অপকর্ম ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। নেত্রকোনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিতভাবে তারা এ অনাস্থা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে এই সংবাদ সম্মেলনকে ধাপাচাপা দেবার চেষ্টা নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. আনোয়ারুর হক। ডা. আনোয়ারুল হক লিখিত অভিযোগ স্বাক্ষরকারী ও সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকারীদের চাপ দেন যাতে সম্মেলন কোন গণমাধ্যম্যে না আসে। অভিযুক্ত সদস্য সচিবকে রক্ষা করতে চেষ্টা চালান জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডা. আনোরুক হক।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত সদস্য সচিব মো. সাজরুল ইসলাম বহিরাগত মাদকসেবীদের ইন্ধনে নেতাকর্মীদের লাঞ্ছিত করছেন। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাইরে ফাঁস করে দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন। এছাড়া ৪নং আসমা ইউনিয়নে জুয়া, মাদক এবং ষাঁড়ের লড়াইয়ের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরিবদের জন্য বরাদ্দ ১০ কেজি করে চাউলের স্লিপ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রভাব খাটিয়ে সংগ্রহ করে তা অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করেছেন সাজরুল। বিষয়টির প্রমাণ রয়েছে উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম খানের কাছে। এমনকি স্লিপ চাইলে টাকার বিনিময়ে নিতে হবে বলেও হুমকি দেন তিনি।
অভিযোগকারী নেতারা জানান,মোঃ সাজরুল ইসলাম একাধারে স্বেচ্ছাচারী, প্রটোকল ভঙ্গকারী এবং ক্ষমতার অপব্যবহারকারী হিসেবে পরিচিত। প্রতিবাদ জানানোয় তিনি সহযোদ্ধা নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং নিজের প্রভাব বিস্তার করতে চেষ্টাও করেন।
সদস্য সচিবের কর্মকাণ্ডে বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ করছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এতে সংগঠন ক্ষতির মুখে পড়ছে এবং যে কোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।
অতএব, বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের বৃহত্তর স্বার্থে অভিযুক্ত সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
১৫ জুন শহরেরর দলীয় কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।