ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জি-৭ দেশগুলোর
- আন্তর্জাতিকলিড
- 1 minute read
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন জি-৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। একই সঙ্গে তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (৩০ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, “আমরা এমন একটি আলোচনার আহ্বান জানাচ্ছি, যার মাধ্যমে একটি বিস্তৃত, যাচাইযোগ্য ও স্থায়ী চুক্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে—যা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বিদ্যমান উদ্বেগ নিরসনে সহায়তা করবে।”
২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন একটি কূটনৈতিক সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা চলছে। তেহরান দাবি করছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা আশঙ্কা করছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন, যার ফলে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটে। এই সংঘাত এমন সময়ে শুরু হয় যখন গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে।
যুদ্ধ শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার জবাবে ইরান কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করে।
জি-৭ দেশগুলো বিবৃতিতে আরও জানায়, “আমরা সব পক্ষকে এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই, যা এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে আরও দুর্বল করতে পারে।”
মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানান, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা ‘আশাজনক’, এবং যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদী শান্তিচুক্তি নিয়ে আশাবাদী।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইসরায়েল হলো মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ, যাদের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে ধারণা করা হয়। যদিও ইরান পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (NPT) সদস্য, ইসরায়েল সেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা জানিয়েছে, তারা ইরানে বর্তমানে সক্রিয় ও সমন্বিত কোনও পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পায়নি।