বোরো ধানের মুল্য ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করার আহ্বান -দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু

বোরো ধানের মুল্য ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করার আহ্বান -দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু

ধানের লাভজনক দাম প্রাপ্তির দাবীতে ‘বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি’র কেন্দ্রীয় কমিটির একটি প্রতিনিধি দল খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা জনাব আলী ইমাম মজুদারের সাথে আজ আজ ৮ মে ২০২৫ বৈঠক করেছেন। সচিবালয়ে উপদেষ্টার সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আরোও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম, যুগ্ম-সম্পাদক তোহিদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল আলম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাফর মুহাম্মদ শাফি ও শাহাবুল ইসলাম।

বৈঠকে ‘বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি’র  কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়ান আব্দুর রশীদ নিলু বলেন, এবছর সরকারীভাবে ধান কেনার অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও ১৪ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা মোট ধান উৎপাদনের খুব নগন্য। প্রকৃত কৃষকের হাতে ধানের লাভজনক দাম পৌছাতে আরোও বেশি পরিমাণ ধান কিনতে হবে। কাঠামোগত বিভিন্ন রকম অসুবিধা ও অবকাঠামোগত ঘাটতিতে কৃষকের উৎপাদিত ধানের লাভজনক দাম নিশ্চিত করা যাচ্ছেনা। তিনি খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও অফিস গুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার চারটি প্রস্তাব করেছেন।

বোরো ধানের মুল্য নির্ধারণ করতে সংবাদ সম্মেলন

তারা আরো বলেন,  কৃষি উপকরণের দামের ক্রমাগত বৃদ্ধি, কৃষক খানাতে পুঞ্জীভূত ঋন, সরকারী গুদামে ধান দিতে কৃষকদের অনাগ্রহ, ধান সংগ্রহে কর্মকর্তাদের অনাগ্রহ, কৃষক পরিচয়পত্র ও সঠিক তথ্যভান্ডারের অভাব, কৃষকের গোলাঘরে শষ্য সংরক্ষন ক্ষমতা হ্রাস, কৃষিপন্য পরিবহন ব্যয় অত্যধিক ও গ্রামীণ ছোট চাতাল-মিল কমে যাওয়ার কারণে কৃষক কাঠামোগত ভাবে লাভজনক দাম পাচ্ছেনা।

বৈঠকে প্রতিনিধিদল খাদ্য উপদেষ্টার কাছে সাত দফা সুপারিশ উপস্থাপন করলে তিনি বেশিরভাগ সুপারিশের সাথে গঠনমূলক আলোছনা করেন বিশেষত খাদ্য অফিসের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সাপ্তাহিক গণশুনানীর প্রস্তাবকে তাৎক্ষনিকভাবে বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন।

বৈঠক শেষে একটি সংবাদ সম্মেলনে  বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতি কর্তৃক পরিচালিত বিঘাপ্রতি বোরো ধান উৎপাদনের সরেজমিন প্রতিবেদন এবং খাদ্য উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের সারসংক্ষেপ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, উপরোক্ত দাবীমালা নিয়ে অপরাপর কৃষক সংগঠনসমূহ ও অংশীজনদের নিয়ে জেলায় জেলায় কৃষকদের সংগঠিত করা হবে।