গাজীপুরে কারখানায় পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু, সহকর্মীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের অবহেলা
- ঢাকা
- 1 minute read
গাজীপুরের জয়দেবপুরে জেএল ফ্যাশন লিমিটেড সোয়েটার কারখানায় কর্মরত শ্রমিক টিঠন মিয়া (৩৪) কাজ করার সময় হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। গতকাল রবিবার (১১ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যু ঘিরে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে কারখানা কর্তৃপক্ষ ওইদিন বিকেল ৫টায় ছুটি ঘোষণা করে।
মৃত টিঠন মিয়া নেত্রকোনা সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং কারখানার ফিনিশিং শাখার সাধারণ অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। সহকর্মীদের বরাতে জানা যায়, মধ্যাহ্ন বিরতির পর কাজের সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে কারখানার মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে দ্রুত মাওনা চৌরাস্তার আল-হেরা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শ্রমিকের সহকর্মীরা অভিযোগ করেন, টিঠন মিয়ার অসুস্থতার পর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ক্ষেত্রে কারখানা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও গাফিলতি ছিল। তাদের দাবি, সময়মতো ব্যবস্থা নিলে হয়তো তার মৃত্যু এড়ানো যেতো। ঘটনার পর শ্রমিকরা বকেয়া পাওনা ও ক্ষতিপূরণ দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
কারখানার মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সাঈদ শিকদার শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, টিঠন মিয়া অসুস্থতার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার পরিবারের জন্য ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের সদস্যকে চাকরির সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শ্রম আইন অনুযায়ী তার সব পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও জানান তিনি।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদা ইমরোজ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে টিঠনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। একই মত দেন গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ খান।
ঘটনার খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও জয়দেবপুর থানার পুলিশ কারখানায় উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।