আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উদ্বেগ
- আন্তর্জাতিক
- 1 minute read
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। গত সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০০৯ সালের ১৮(১) ধারার আওতায় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।
এর ফলে আওয়ামী লীগ আপাতত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি, প্রচার কিংবা সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। দলটির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে সংশোধন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন। পাশাপাশি, দলটির নিবন্ধনও স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত রয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মঙ্গলবার (১৩ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দপ্তরের উপমুখপাত্র টমি পিগট বলেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে আমরা সর্বদাই সমর্থন করি। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি আমাদের আহ্বান, তারা যেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংগঠনের স্বাধীনতাকে সম্মান দেয়।”
ভারতের উদ্বেগ
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারতও। একইদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “কোনো উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা বজায় রাখা জরুরি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা তীব্র হচ্ছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর উদ্বেগ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
এখন দেখার বিষয়, অন্তর্বর্তী সরকার এ সিদ্ধান্তের পক্ষে কী যুক্তি তুলে ধরে এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কোনো পরিবর্তন আসে কি না।