আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ: প্রজ্ঞাপন জারি
- জাতীয়
- 2 minutes read
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ সোমবার (১২ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও তাদের সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছে।
গত রোববার সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান সংযোজন করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি করে। আগের আইনে শুধুমাত্র ব্যক্তি বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণার সুযোগ ছিল, কিন্তু তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য আলাদা কোনো বিধান ছিল না। নতুন সংশোধনী সেই শূন্যতা পূরণ করেছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বলা হয়েছে, ‘সত্তা’ বলতে কোনো আইনি, বাণিজ্যিক, অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, গোষ্ঠী, সমবায় বা ব্যক্তিসমষ্টিকে বোঝাবে, যারা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িত হতে পারে।
গত শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ সভায় এই বিষয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়:
-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন, যাতে কোনো রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনা যায়।
-
বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
-
জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের আলোকে এখন আওয়ামী লীগের সমস্ত রাজনৈতিক কার্যক্রম—সাইবার স্পেস, প্রচারণা, জনসমাবেশ, মিছিল-মিটিংসহ—সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে বিচারকার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত।
আরো পড়ুন : রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ