রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ

রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ

বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সংশোধনী এনে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করেছে। এ বিষয়ে ২০২৫ সালের সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশের গেজেট ১১ মে রবিবার প্রকাশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়

নতুন এই বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জন্য আইনি কোনও প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। সংশোধিত আইনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে—দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে সেই দলের পক্ষ থেকে অনলাইন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা অন্য যেকোনও মাধ্যমে প্রচারণা চালানো যাবে না

এর আগে, একই দিনে সরকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ব্যক্তি বা সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার বিধান যুক্ত করে সংশোধিত সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশের নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদে

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের মূল সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সংগঠন নিষিদ্ধের সুযোগ থাকলেও তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য কোনও নির্দিষ্ট বিধান ছিল না। এ সংশোধনের মধ্য দিয়ে সেই শূন্যতাই পূরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও, গত ১০ মে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে সরকার গেজেট প্রকাশ করেছে, যেখানে রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তির আওতায় আনার বিধান সংযোজিত হয়েছে।

 

 সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ধারা ১৮ ও ২০ সংশোধন:

  • ধারা ১৮: ‘সত্তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও তফসিলে তালিকাভুক্ত করিতে পারিবে’ শব্দের পর ‘বা সত্তার যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করিতে পারিবে’ বাক্যাংশ যোগ করা হয়েছে।

  • ধারা ২০: সংশোধনের ফলে, কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে ধারা ১৮ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে, তাদের মাধ্যমে বা পক্ষে সকল ধরণের প্রচার-প্রচারণা, সভা-সমাবেশ, অনলাইন কার্যক্রম, প্রেস বিবৃতি, সংবাদ সম্মেলন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হবে

    উপ-ধারাগুলোর ভাষাগত ও ব্যাখ্যাগত পরিবর্তনের মাধ্যমে আইনের প্রয়োগ ক্ষমতা আরও বিস্তৃত করা হয়েছে।

এই সংশোধনের মাধ্যমে সরকার এখন কোনো দল বা সংগঠনের কার্যক্রম শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং তাদের প্রচারণা ও জনসমাগমেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা পেয়েছে। ফলে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়েছে।