ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অভিযোগ, তীব্র প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি; প্রত্যাখ্যান তেহরানের
- আন্তর্জাতিক
- 1 minute read
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে—এমন অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরানের ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও প্রতিহত করেছে। এর পরপরই মঙ্গলবার (২৪ জুন) তেহরানের ওপর উচ্চমাত্রার সামরিক প্রতিক্রিয়ার নির্দেশ দেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
তবে ইসরায়েলের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এবং সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলের দিকে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়নি।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ইরান নগ্নভাবে লঙ্ঘন করেছে। এর জবাবে তেহরানের কেন্দ্রস্থলে শাসকগোষ্ঠীর সম্পদ ও সন্ত্রাসী অবকাঠামোর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযানের মাত্রা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি।”
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল। চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কাতার।
অভিযানের প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “তেহরান কাঁপবে।”
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নূর নিউজ জানায়, সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুলরহিম মুসাভি বলেছেন, “গত কয়েক ঘণ্টায় ইসরায়েলের দিকে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়নি। যুদ্ধবিরতির পর এমন কোনো হামলা চালানো হয়নি—এই খবর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।”
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে, “যেকোনো নতুন আগ্রাসনের মুখে আমরা দৃঢ়, নির্দয় ও সময়োপযোগী জবাব দেব।”
তেহরান আগেই জানিয়ে রেখেছিল, ইসরায়েল যদি যুদ্ধবিরতি মেনে চলে, তাহলে তারাও তা বজায় রাখবে।