সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আল কায়েদার সক্রিয় সংযোগ পায়নি জাতিসংঘ

সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আল কায়েদার সক্রিয় সংযোগ পায়নি জাতিসংঘ

চলতি বছর সিরিয়ার শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আল কায়েদার সক্রিয় কোনও সংযোগের প্রমাণ পায়নি জাতিসংঘ। এখনও প্রকাশ না হওয়া এই প্রতিবেদন যাচাই করেছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স। জুলাই মাসের মধ্যেই প্রতিবেদনটি জনসম্মুখে আসতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, জাতিসংঘের এই পর্যবেক্ষণ সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোরালো করতে পারে। এক সময় আল কায়েদার শাখা হিসেবে পরিচিত এই গোষ্ঠী ২০১৬ সাল থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলে দাবি করলেও, অনেকেই এ নিয়ে সন্দিহান।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এইচটিএস-এর নেতৃত্বে বিদ্রোহীরা আসাদ সরকারকে উৎখাত করে। বর্তমানে গোষ্ঠীটির নেতা আহমেদ আল-শারা অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খাত্তাব তুলনামূলকভাবে বাস্তববাদী হলেও, তাদের আশপাশে থাকা অনেক সদস্য চরমপন্থি মতাদর্শে বিশ্বাসী। তবে আল-শারা একটি অংশগ্রহণমূলক ও গণতান্ত্রিক সিরিয়া গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

২০১৪ সাল থেকে এইচটিএস জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও সম্পদ জব্দের আদেশ কার্যকর আছে। আল-শারাও ২০১৩ সাল থেকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন।

তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র এইচটিএসকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়েছে এবং জুনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দামেস্কের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এখনও সিরিয়া ও এইচটিএস সংশ্লিষ্ট নিষেধাজ্ঞাগুলোর পর্যালোচনা করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার দেশটির অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়ক হবে, চরমপন্থার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়বে এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি কমাতে সহায়তা করবে।