জবি শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা

জবি শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল না ছাড়ার ঘোষণা

দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কাকরাইল ছাড়বেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাকরাইল এলাকায় যমুনা অভিমুখী সড়ক অবরোধ করে তারা অবস্থান নেন। তাদের অভিযোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, সকালে তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে লং মার্চ শুরু করলে মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের মোড়ে পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও গরম পানি ছোড়া হয়। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন।

আহতদের মধ্যে অন্তত ৩৮ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন—রেদোওয়ান (২৪), আসিফ (২০), রহমান (২২), আকিব (২১), আরিফ (২২), রফিক (২৫), শফিক (২৫), ওমর ফারুক (২৪), অর্থিব (২১), আপেল (২১), মুজাহিদ (২৩), রায়হান (২৩), ফারুক (২৩), আবু বক্কর (২২), নিউটন (২০), হানিফ (২২), জীবন (২২), শহীদ (২০), রাসেল (২২), জিসান (২২), শহীদ (২৪), রাসেল (২৩), গৌরব (২৫), আব্দুল মান্নান (২২), নাহিদ (২৩), জুয়েল (২৩), মোহন (২২), সোহানুর রহমান সানি (২৪), মাছুমা (২০), সংগ্রাম (২০), বাইতুল (২২), রাজু (২২), সুমন (২২), রাজীব (২২), আকাশ (২২)।

এছাড়া আহত হয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের জবি প্রতিবেদক ও প্রেস ক্লাব সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ, ঢাকা পোস্টের জবি প্রতিবেদক ও সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব লিমন (২৩) এবং দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান (২৪)।

আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক বেলাল ও সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকিও।

পুলিশের হামলার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন বলেন, “সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা হয়েছে। এর বিচার চাই।”

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো:

১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে।

২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা কাকরাইলে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।