ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য এবং যুদ্ধবিরতির নতুন বার্তা

ট্রাম্পের ঘোষণায় ভারত-পাকিস্তান বাণিজ্য এবং যুদ্ধবিরতির নতুন বার্তা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১০ মে, শনিবার, নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ একটি পোস্টে তিনি এই ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সহায়তা করেছে এবং এটি একটি ‘ঐতিহাসিক ও বীরোচিত সিদ্ধান্ত’।

ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, “যদিও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি, আমি উভয় দেশের সঙ্গে বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে যাচ্ছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব, যাতে বহু শতাব্দী ধরে চলা কাশ্মীর ইস্যুর একটি স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়।”

এদিকে, ট্রাম্পের প্রশংসা সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা ভিন্নরকম। চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সীমান্তে পুনরায় গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের ‘কঠোর ব্যবস্থা’ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জবাবে পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং লঙ্ঘনের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছে।

রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উভয় দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় রাতভর সংঘর্ষ চলার পর ভোরের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। ভারতের অমৃতসরসহ সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে ব্ল্যাকআউটের পর বিদ্যুৎ পুনঃচালু করা হয়েছে। সকালে সাইরেন বাজিয়ে সাধারণ কার্যক্রম শুরু করার সংকেত দেওয়া হয়, যা মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরের ভিম্বারে কিছু গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও তা সীমিত ছিল এবং কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ট্রাম্পের বাণিজ্য বৃদ্ধির ঘোষণাকে একদিকে ইতিবাচক কূটনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা গেলেও, বাস্তব পরিস্থিতি এখনো বেশ জটিল। সীমান্তে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের ছায়ায় এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ অনেকাংশেই নির্ভর করছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বাস্তব পদক্ষেপের ওপর।